মঙ্গলবার (১১ মে) বিকেলে, চট্টগ্রাম নগরীর মনসুরাবাদে পিবিআই কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (১২ মে) সকালে বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করা হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম পিবিআই কার্যালয়ে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমাসহ পিবিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তার আগে, সোমবার (১০ মে) তাকে ঢাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রাম পিবিআই কার্যালয়ে আনা হয়।
গেল ৪ ফেব্রুয়ারি মামলার অগ্রগতির বিষয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী জানান, শিগগিরই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে। এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন স্বামী বাবুল আক্তার। পরে মামলটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলেও তারা মামলার কিনারা করতে না পারায় ২০২০ সালে মামলার তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেয় আদালত।
মিতু হত্যাকাণ্ডের পর ধারণা করা জঙ্গিরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত। কারণ হিসেবে ধারণা করা হয় বাবুল আক্তার জঙ্গিবিরোধী অপারেশনে প্রথম সারির পুলিশ কর্মকর্তাদের একজন ছিলেন। পরবর্তীতে হত্যার ঘটনা ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা হত্যাকাণ্ডের জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ী করে তার বিচার দাবি করে আসছিলেন।