নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ঘটে যাওয়া নারী প্রতি পাশবিক নির্যাতনের ভিডিওটা আমি দেখিনি, ফেসবুক বন্ধু তালিকার কেউ ইনবক্স কিংবা নিজের টাইমলাইনে শেয়ারও করেনি। তবে সবার সমস্বরে প্রতিবাদে গর্জে উঠা দেখে আঁচ করা যায় বিভৎসতা। ধর্ষণ, নারী নির্যাতন কিংবা অন্যায়ের বিরুদ্ধে এমন প্রতিবাদী বাংলাদেশ দেখলে বরাবরই আমি আশাবাদী হই- একদিন নিশ্চয়ই সব বদলে যাবে, আলো আসবে।

কিন্তু বিপত্তি বাঁধে একটা ইতর শ্রেণীর মানুষে। যেকোন অপরাধের সাথেই ‘লীগ’ পেলে এই শ্রেণীর লোকের বিপ্লব জেগে উঠে, অন্যথায় বিপ্লব নেতিয়ে যায়। শিক্ষক ধর্ষণ করে, হুজুর ধর্ষণ করে, গির্জার ফাদার ধর্ষণ করে, বাবা মেয়েকে ধর্ষণ করে, ছাত্রদল ধর্ষণ করে, ছাত্র শিবির ধর্ষণ করে, ছাত্র ইউনিয়ন ধর্ষণ করে, ছাত্র অধিকার ধর্ষণ করে- কিন্তু তখন শ্রেণী কিংবা সংগঠন নিয়ে আলাপ হয়না। টু শব্দটা হয়না। যে অপরাধ সমাজের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে বিরাজমান, তখন দোষ শুধুই ছাত্রলীগের?

অপরাধীর সাথে ছাত্রলীগের নাম জড়িয়ে গেলে আমরা বরং ভীষণ লজ্জিত হই, প্রতিবাদ করি। বিচারের দাবি করি। আত্মসমালোচনার এই সংস্কৃতি আর কোন সংগঠন কিংবা কর্মীদের মধ্যে নেই। জানার চোখটা একটু খুললেই দেখা যাবে, ছাত্রলীগের যতটা নিজ সংগঠনের ছেলেদের বিচার চেয়েছে অন্য কোন সংগঠন সেটি করেনি। বরং ধর্ষণকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়েছে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির। ছাত্র ইউনিয়ন চুপ থেকেছে, আর সম্প্রতি ছাত্র অধিকার তো ধর্ষকদের রক্ষায় আন্দোলনও করেছে। তবু্ও দোষ ছাত্রলীগের?

ধর্ষকদের সর্বোচ্চ সাজার জন্য আলাদা ট্রাইবুনালের দাবি আগেও জানিয়েছি, আবারও জানালাম। কারণ বিচারের দীর্ঘসূত্রতার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে, ধর্ষকের সাজার ব্যবস্থা করতে হবে দ্রুত। এমন উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে, যেনো আর কেউ ধর্ষণ করার সাহস না পায়।

লেখক-
তানভীর হোসেন জনী,
সহ-সভাপতি (সাবেক), চাঁদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ছাত্রলীগ
গ্রন্থণা ও প্রকাশনা সম্পাদক (সাবেক), কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগ