কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ‘ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত বাঁচানোর আহ্বান করলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সদ্য সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানী।
শনিবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে তিনি বিষয়টি তুলে ধরেন। একটি মাত্র ভাইভার জন্য ২ লক্ষ শিক্ষার্থী বেকাদায় পড়ে যাওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এবং শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এর নিকট তিনি এ আবেদন করেন।
পাঠকের সুবিধার্থে গোলাম রাব্বানীর পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ‘ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং’ শিক্ষাক্রমের ২০১৬-১৭ সেশনের নিয়মিত শিক্ষার্থী ২ লক্ষেরও বেশি। বিগত ১৭ মার্চ হতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ইতিমধ্যে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের (জুন-জুলাই) সেশনের সময় শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু এদের ৮ম পর্বের চুড়ান্ত ভাইভা নেয়া সম্ভব হয়নি।
যার ফলে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থী শুধু চূড়ান্ত ভাইভা দিতে না পারায়, কোন সরকারি-বেসরকারি চাকুরীতে আবেদন করতে পারছে না। অনেকের ডিপ্লোমা শেষে বিদেশে বিএসসি করার ইচ্ছে রয়েছে, ৮ম পর্বের ভাইভার জন্য তাদের ডিপ্লোমা ও কোর্স শেষ হচ্ছেনা বিধায় বিদেশী কোন ইউনিভার্সিটিতে অনলাইন আবেদন করতে পারছে না।
বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা কিন্তু থেমে নেই। এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব চলছে, ২০২০-২১ সেশনের ভর্তি কার্যক্রমও প্রায় শেষ। পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট গুলোতে সশরীরে ভর্তিও নেয়া হচ্ছে। ভর্তি কার্যক্রম যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারে, তাহলে চুড়ান্ত সেমিস্টারের ভাইভাটা কেন নেয়া হচ্ছে না?
যেহেতু এখানে লিখিত পরীক্ষার কোন বালাই নেই, কেবল একটি ভাইভা মাত্র। সুতরাং, দ্রুততম সময়ে ভাইভাটি গ্রহণ করে এই ২ লাখ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত বাঁচানোর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন করছি।
