পটুয়াখালী জেলা শহরের ঐতিহ্যবাহী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। বর্তমান সময়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ঘাঁটি বলে পরিচিত লাভ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন নিচ্ছেন সর্বমহল থেকে ইনস্টিটিউটের ছাত্রলীগের শাখাটি।

এর কারণ পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রলীগের জাতীয় প্রোগ্রাম থেকে শুরু করে সকল প্রোগ্রামে এগিয়ে রয়েছে এই পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগ শাখাটি। এটি একমাত্র কর্মীদের পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা এগিয়েছে অনেক দূর। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পটুয়াখালী পলিটেকনিক ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ ও হতাশা মনোভাব লক্ষ্য পাছে সোশ্যাল মিডিয়াতে, ভুগছে পরিচয়হীনতার অভাবে।

কারন খুঁজে দেখা যায়, একাধিকবার নেতৃত্বের পরিবর্তন আনার পরেও পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।

পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে দুই মাসের বেশি সময়। তবুও আলোর মুখ দেখেনি পূর্ণাঙ্গ কমিটি।

গত বছরের ৫ ডিসেম্বর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হলেও পলিটেকনিক ছাত্রলীগ পায়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি।

গত ৪ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মোঃ সাইদুর রহমান জয় কে সভাপতি এবং আবির মাহমুদ নিপু কে সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্যের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা কমিটি। কিন্তু সে কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি।

তারপর ৮ মার্চ ২০১৮ তারিখে ওয়াহিদ সরোয়ার সম্রাট কে সভাপতি এবং মোঃ সাইফুর রহমান রিয়াদ কে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা কমিটি। কিন্তু সে কমিটিও পূর্ণাঙ্গ রূপে রূপ পাইনি।

সর্বশেষ গত বছরের ১৫ জুলাই মোঃ পাবেল মাহমুদ কে সভাপতি এবং মোঃ আরিফুর ইসলাম আরিফ চৌকিদার কে সাধারণ সম্পাদক করে ১২ সদস্যের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা কমিটি। যা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে প্রায় দু মাস।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় পলিটেকনিক ছাত্রলীগের রাজনীতিতে একধরনের স্থবিরতা তৈরি হচ্ছে মন্তব্য করে সাবেক ও বর্তমান একাধিক নেতা বলেন, দীর্ঘদিনেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়াটা আসলেই দুঃখজনক। এটা কর্মীদের মনোবল নষ্ট করছে। এতে করে সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমান কমিটির কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।

তারা আরো বলেন, বর্তমান কমিটি যখন হলো আমাদের সবারই ভালো কিছু প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বলতে দ্বিধা নেই যে, আমাদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে অনেক পার্থক্য। পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখন সময়ের দাবী।

পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান খান জয় বলেন, আমরা সুষ্ঠ এবং সফলতার সাথে পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউট এর রাজনীতি পরিচালনা করেছি। ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি অত্র ইনিস্টিটিউটে অতীব জরুরী। ছাত্রদের নেতৃত্ব প্রদানের লক্ষে সং সাহসী ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ নের্তৃত্ব আশা করছি।

এ সম্পর্কে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাসান শিকদার বলেন, কেন্দ্রীয় এবং জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে বর্তমানে ব্যস্ততম সময় কাটাচ্ছে সকল নেতা কর্মীরা। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্নাঙ্গ কমিটি দেয়ার ব্যাপারে একটু বিলম্ব হচ্ছে। অতি শিঘ্রই কমিটি প্রদান করা হবে।