বিগত বছরের ১৪ই সেপ্টেম্বর বিভিন্ন অভিযোগের দায়ে ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদত্যাগ করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন আল-নাহিয়ান খান জয় এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন লেখক ভট্টাচার্য্য।

দায়িত্ব পেয়েই নতুন করে সংগঠনটিকে কেন্দ্র থেকে তৃণমুলের সকলকে সংগঠিত করার ভূমিকা বেশ পরিলক্ষিত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এই বছরের ৪ই জানুয়ারী রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এই দুই নেতাকে ভারমুক্ত করার প্রস্তাব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেন সংগঠনটির সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনা।

ভারমুক্ত হওয়ার পর পরই বিশ্বব্যাপী করোনার ছোবলে মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক তখনই দেশব্যাপী জয়-লেখকের নেতৃত্বে মানবিক কাজের মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে ছাত্রলীগ। জাতীয় এই দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে লড়াইয়ে সংগঠনটির কেন্দ্র থেকে তৃণমুল প্রায় অর্ধলক্ষ নেতাকর্মী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন।

করোনার শুরুতে সারাদেশে হ্যান্ড স্যানিটাইজার আর মাস্কের দাম যখন আকাশ ছোঁয়া তখন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার সারাদেশে, প্রতিটা জেলায়, উপজেলায়, ওয়ার্ডে বিনামূল্যে বিতরণ করেছে। এরপর শুরু হলো সাধারণ ছুটি। তখনই দেশব্যাপী সরকারের সাথে সাথে নিজেদের হটলাইন থেকে মধ্যবিত্তদের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সাধারণ ছুটিতে সবচেয়ে বড় ধাক্কটা পড়ছিলো কৃষিতে। ধান কাঁটার লোক নাই, শ্রমিকের বেতন বেশি। সময়মত ধান কাটা না হলে ধান ঝড়ে যাবে। আবার বৃষ্টি হলে পানিতে তলিয়ে যাবে। ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে নেতাকর্মীরা নেমে পড়লো কাঁচি হাতে। এখন পর্যন্ত দেশের প্রায় সব জেলায় ধান কেঁটে দিয়েছে ছাত্রলীগ। দেশের ৪৫টা জেলায় ৩০০+ স্থানে ফ্রি সবজী বিতরণ করেছে সংগঠনটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। হাজার হাজার দিনমজুরকে প্রতিদিন রান্না করে খাওয়াচ্ছে বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী। বিগত কয়েকমাসে করোনায় যারা মৃত্যবরণ করছেন যখন তাদের শেষ যাত্রায় স্বজনরা আতংকে দূরে সরে যাচ্ছেন ঠিক তখনই সারাদেশে ছাত্রলীগের কয়েকটি ইউনিটের নেতাকর্মীরা করোনায় মৃত ব্যক্তিদের জানাজা, লাশ দাফন করেছে।

বিগত একবছরে ছাত্রলীগের এমন কার্যক্রমকে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোর জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন সাধারণ মানুষ। ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যের যোগ্য নেতৃত্বে সংগঠনটির ভাবমুর্তি আগের তুলনায় ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ জনগণ।