করোনার উদ্ভব যেখানে, সেই চীনও তাদের ভ্যাকসিন এবার প্রকাশ্যে নিয়ে এল। চলতি সপ্তাহেই রাজধানী বেইজিংয়ের একটি বাণিজ্য মেলায় সেই ভ্যাকসিন প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে। এই ভ্যাকসিনটি বাজারে আনছে সিনোভ্যাক বায়োটেক এবং সিনোফার্ম। ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু এই মেলায় অংশ নিয়েছে ১৮ হাজার প্রতিষ্ঠান।
সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষের দিকেই ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হবে। তারপরই এটি সকলের জন্যে বাজারে আনা হবে।
সিনোভ্যাক বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে, তারা ভ্যাকসিনটি উৎপাদনের জন্য এর মধ্যেই একটি কারখানা নির্মাণ করেছেন। ওই কারখানা থেকে বছরে ৩০ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদন সম্ভব। যা অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় বেশি। সেই ভ্যাকসিন দেখতেই বেইজিংয়ের বাণিজ্য মেলায় ভিড় জমিয়েছেন বহু মানুষ। উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল হতে চলা বিশ্বের পরীক্ষাধীন ১০টি সম্ভাব্য টিকার মধ্যে রয়েছে চীনের এ প্রতিষেধকটি।
চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভ্যাকসিনটির দাম খুব বেশি রাখা হবে না। সিনোফার্মের তরফে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিনটির প্রতি দুই ডোজের দাম ১৪৬ মার্কিন ডলারেরও কম রাখা হবে। গত মাসের নিরিখে বিশ্বজুড়ে পরীক্ষাধীন ভ্যাকসিনগুলোর কমপক্ষে ৫০ কোটি ৭০ লাখ ডোজ প্রি-অর্ডার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্তের খোঁজ মেলে। তারপর থেকে ঝড়ের গতিতে সে দেশে বাড়ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু ধীরে ধীরে সংক্রমণ প্রায় নিয়ন্ত্রণেই এনে ফেলেছে চীন। এবার ভাইরাস মোকাবিলার ভ্যাকসিনও প্রকাশ্যে নিয়ে এল তারা।