করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন আবিষ্কারে বাজিমাত করে ফেলল রাশিয়া! কোভিড-১৯ এর প্রথম প্রতিষেধক হিসেবে মস্কোর গামালেয়া রিসার্চ ইন্সটিটিউটের তৈরি টিকার অনুমোদন দিয়েছে রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ ঘোষণা দেন। এরইমধ্যে পুতিনের মেয়ে এই টিকা গ্রহণ করেছেন বলেও জানানো হয়।

করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী পুতিন। দেশ তথা বিশ্ববাসীর শঙ্কা দূর করতে জানালেন, তার মেয়েকেও দেওয়া হয়েছে এই ভ্যাকসিন। খুব অল্প সময়েই বাজারে আনার জন্য শুরু হয়ে যাবে বড় মাত্রার উৎপাদন, সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন পুতিন। তিনি জানান, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষেই ভ্যাকসিনটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

পুতিন আরো জানান, কোভিড-১৯ এর টিকা আবিষ্কারের পথে রুশ বিজ্ঞানীরা এরই মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সব ধাপ পার হয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমাণ হয়েছে এই টিকা নিরাপদ ও কার্যকর। শিগগিরই রাশিয়া এ ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু করবে বলেও জানান তিনি।

রুশ প্রেসিডেন্টের নির্দেশ অন্তত ৬০ শতাংশ রুশ নাগরিকের শরীরে করোনা টিকা দিতে হবে। রাশিয়ার পরিকল্পনা এই বছর অন্তত চার কোটি টিকা বাজারে আনার। এই মুহূর্তে রুশ প্রশাসন চাইছে, রিস্ক ওয়ার্কার বলয়ে যারা রয়েছেন অর্থাৎ স্বাস্থ্য ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবাকর্মীদের এ মাসেই টীকাকরণ করতে। অক্টোবর থেকে টিকাকরণ হবে গণহারে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, প্রতিটি পরীক্ষায়, প্রতিটি বর্গে সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে তাদের ভ্যাকসিন। ১৮ জুন মাত্র ৩৮ জন ভলেন্টিয়ার নিয়ে পরীক্ষা শুরু করে রাশিয়া। এর পরের ধাপের পরীক্ষা চলে ১৫-২০ জুলাই।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের প্রতিরোধী ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য বিশ্বজুড়ে অনেকগুলো উদ্যোগ চলছে। তাতে সবার আগে সাফল্যের খবর শোনাল রাশিয়া।