পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা সদরের বাহেরচর-গহীনখালী খালের উপর নির্মিত আয়রন সেতুটি যেনো দিন দিন ভয়াবহ মরণ ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। এতে যেকোনো সময় যাতায়াতকারীরা হতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার। প্রতিনিয়ত যে যার যার মতো করে ভারী জিনিস পত্র নিয়ে পার হয়ে যাচ্ছে এই বিপদগামী মরন ফাঁদ দিয়ে। অন্যদিকে নেই কোন স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি।
স্থানীয়রা জানান, ৫ বছর আগে সেতুটির খুঁটিগুলো ভেঙে পানির নিচে তলিয়ে যায় ও সিমেন্টের ঢালাইগুলো খসে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় প্রশাসন সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে সাঁইন বোর্ড লাগিয়ে দিলেও গাছ দিয়ে খুঁটি দেওয়া ছাড়া আর কোন ব্যবস্থা হয়নি।
রাঙ্গাবালী মডেল হাই/এ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষিকা সোহেলা পারভীন বলেন, সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন ওই পাড়ের শিশুরা স্কুলে আসা যাওয়া করে। অনেক মা-বাবা, ভাই-বোন এসে এগিয়ে দিয়ে যায়। সেতুটির সিমেন্টের ঢালাইগুলো খসে পড়ে গেছে। এটা দেখে আমার অন্তরই কেঁপে উঠলে ভয়ে। ছেলে-মেয়েদের কথায় বা কি বলবো আমি নিজেই কখনো সাহস করি না এই সেতু দিয়ে পার হওয়ার কথা।



তিনি আরো বলেন, আমি স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই সেতুটি সমস্যা যাতে দ্রুত সমাধান করা যায় এই ব্যাপারে। কারণ যে কোন সময় হতে পারে কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মু. সাইদুজ্জামান মামুন খান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। আমরা সেতুটির সংস্করণের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি পাইনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাঙ্গাবালী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর কবির জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই সেতুটি সংস্করণ করা হবে।