চলতি বছরের পহেলা এপ্রিল উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা ২০২০ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এ পরীক্ষাসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলের লিখ কয়েক মাস অনিশ্চয়তায় দিন পার করছে প্রায় ১২ লাখ পরীক্ষার্থী। কবে এবং কিভাবে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে চলছে গবেষণা।

অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষে অথবা অক্টোবর মাসের শুরুতে হতে পারে উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা ২০২০। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে শিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষাটি নেয়ার পরিকল্পনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরইমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন এবং শিক্ষা বোর্ড গুলোকে তৈরি করেছেন।

এক সূত্রে জানা গেছে,’ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে অথবা অক্টোবরের শুরুতে শুরু হতে পারে এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সে লক্ষ্যে এরই মধ্যে একটি রোডম্যাপ তৈরি করে বিভিন্ন প্রস্তুতিও শুরু করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।’

পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করণ করে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে। এক্ষেত্রে পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমিয়ে একটি করে আসনে একজন করে বসানো হবে। একটি শ্রেণিকক্ষে যতগুলো আসন থাকবে ততজন পরীক্ষার্থীর আসন নির্ধারণ করা হতে পারে । যদি কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী সংখ্যা নির্দিষ্ট আসন থেকে বেশি হয় তবে পার্শ্ববর্তী ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর মূল ফটকের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হবে। পরিদর্শক ও পরীক্ষার্থীরা ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে ভেতরে প্রবেশ করবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, বর্তমানে সবকিছু সচল হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে অথবা অক্টোবরের শুরুতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নতুনভাবে প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এজন্য শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরে পার্শ্ববর্তী ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা চাওয়া হয়েছে। নতুনভাবে কেন্দ্র বাড়িয়ে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।

উল্লেখ্য করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে এপ্রিল মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ। এর ফলে উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা অনিশ্চয়তায় পড়েন অভিভাবক এবং পরীক্ষার্থীবৃন্দ। এরইমধ্যে আসতে পারে উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার সময়সূচি।