জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন ছিলো গতকাল। মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময় ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় জয়ের জন্ম। বাংলাদেশর জন্ম সালেই জন্ম হয় জয়ের!
নিজের বয়স লুকানোর সুযোগ নাই জানিয়ে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে ফেসবুকে সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, “যারা বিভিন্ন মাধ্যমে আমার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, সবাইকে ধন্যবাদ। আসলে আমার বয়স লুকানোর কোনো উপায় নেই কারণ বাংলাদেশ আর আমার বয়স একই!”
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা দম্পতির ঘর আলো করে জন্ম নেন জয়। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।



১৯৭৫ সালে জয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তোলা ছবি, এটিই ছিলো বঙ্গবন্ধুর শেষ পারিবারিক অনুষ্ঠান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। এরপর মায়ের সঙ্গে ভারতে চলে যান জয়। সেখানেই কাটে শৈশব ও কৈশরের দিনগুলো। নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে পড়ালেখার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি নেন জয়। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা ছিল তাঁর। বিশেষ করে নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর ধারণা তাঁর উদ্যোগেই যুক্ত হয়েছিল। ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন জয়।



২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তাদের একটি মেয়ে আছে।
আরও পড়ুন-
- স্ট্রাগল করে এ্যাচিভ করার দর্শনের নামই- ‘জয়’!
- ‘সজীব ওয়াজেদ জয়: সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি’
- ‘নিঃসঙ্গ’ প্রধানমন্ত্রীকে ‘বোকা’ জাফরুল্লাহর খোলা চিঠি
- বন্যায় ভাসছে পুরো গ্রাম, ঘরের মেঝেতেই বাবাকে দাফন