গ্লোব বায়োটেক

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছর বিজয়ের মাসেই করোনার ভ্যাকসিন সবার কাছে পৌঁছে দিতে আশাবাদী গ্লোব বায়োটেক। অর্থাৎ বিজয়ের মাসেই বাজারে আসবে দেশে উদ্ভাবিত প্রথম করোনা ভ্যাকসিন। নিজেদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরবর্তী ধাপেও সফল হতে শতভাগ আশাবাদী প্রতিষ্ঠানটির তরুণ তুর্কি ড. আসিফ।

ড. আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা একটা হিসাব করে দেখেছি, যদি সবকিছু ঠিক থাকে পশুর উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগের অ্যাপ্রুভালটা যদি ঠিকমতো সময় পাই তাহলে অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বরে ট্রায়ালের জন্য আমরা হাতে সময় রাখছি। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে বাজারে করোনা ভ্যকসিন নিয়ে আসতে পারবো। তবে এর জন্য ড্রাগস বাজারে ছাড়ার অ্যাপ্রুভাল লাগবে।’

গবেষক দলের প্রধান ড. নাগ বলেন, ‘আমাদের এখনো একটা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বাকি আছে। কেবল অ্যানিমেল (প্রাণী) মডেলে কাজ করেছি। এখনো আমাদের হিউম্যান (মানবদেহে) মডেলে কাজ করতে হবে। হিউম্যান মডেলে কাজ করে ‘ফেস ওয়ান’ একটা স্টাডি আছে এবং ‘ফেস টু’ একটা স্ট্যাডি আছে। ‘ফেস টু’ স্ট্যাডির মধ্যে কয়েকবার ডোজটা দিতে হবে, দিলে অ্যান্টিবডি গ্রো (গড়ে উঠবে) করবে, যে অ্যান্টিবডি করোনা ভাইরাস মেরে ফেলতে পারবে। অর্থাৎ সেটাকে নিউট্রিলাইজ করতে পারবে। আরেকটা প্রি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করব। এর পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাব।’

তবে যেকোনো পরিস্থিতি বিবেচনায় প্লান বি, সি কিংবা ডি প্রস্তুত আছে তাদের। তাই সরকারি সহায়তা পেলে সামনে আর বাধা দেখছেন না তারা। ড. আসিফের চোখে এখন স্বপ্ন দেখছে গোটা বাংলাদেশ। এই প্রত্যাশা চাপ নয়, বরং সহায়ক মানছেন তারা। বলছেন, দরকার একটু সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। বাকিটা, চোখের সামনে সাফল্য ছাড়া কিছুই দেখছেন না তারা।

তিনি বলেন, ‘আগে শুধু এটা আমাদের স্বপ্ন ছিল। কিন্তু এখন এটা দেশের স্বপ্ন। সকলের প্রত্যাশার জায়গা দেখে নতুন উদ্যোমে আমরা আমাদের কাজ শুরু করেছি।’