পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত পুলিশের সোর্স রিয়াজের বাঁ হাতের ক্ষতবিক্ষত কব্জি কেটে বাদ দেয়া হয়েছে। ডান হাতের আঙুলও কেটে ফেলতে হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক)অস্ত্রোপচারের সময় তার কব্জি ও আঙুল কেটে ফেলা হয়।
বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন যুগান্তরকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে দুজন ঢামেকে ও একজন চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন।
ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘রিয়াজের অবস্থা ক্রিটিক্যাল। বাঁ হাতের কব্জি ক্ষতবিক্ষত ছিল। অস্ত্রোপচারের সময় কব্জিটি কেটে বাদ দিতে হয়েছে। এছাড়া তার ডান হাতের একটি আঙুলও কেটে বাদ দেয়া হয়েছে। তার পেটেও আঘাত লেগেছে। রুমি নামের একজন পুলিশ কর্মকর্তাও ভর্তি আছেন। তার পেটে আঘাত লেগেছে। পেটেও বড় ধরনের ইনজুরি হতে পারে। এছাড়া তার পা ও হাতে জখম রয়েছে। তারা দুজনই ঢাকা মেডিকেলের ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি।’
রিয়াজ পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইমরান ইসলামের সোর্স হিসেবে বহু দিন ধরে কাজ করেন। থানার ভেতরে বিস্ফোরণের ঘটনার সময় তিনি সেখানেই ছিলেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন জানিয়েছেন, বোমা বহনকারী তিনজনকে গ্রেফতার করে থানায় নেয়া হয়েছে। এর পর বিস্ফোরণ ঘটে। তারা ‘ভাড়াটে খুনি’। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তথ্য ছিল যে, গ্রেফতার ব্যক্তিরা পল্লবীর স্থানীয় একজন রাজনৈতিক নেতাকে হত্যা করবে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর বিষয়গুলো স্পষ্ট হবে।
পড়ুন- পিএইচডি গবেষক এখন ফুটপাতের ফল বিক্রেতা
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় দুপুরে পল্লবী থানার সামনে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, কালশী কবরস্থানের কাছে ‘একদল সন্ত্রাসী’ অবস্থান করছে, এমন খবর পেয়ে রাত ২টার দিকে পল্লবী থানা পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। আরও কয়েকজন ছিল, তারা পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি এবং একটি ডিভাইস পাওয়া যায়, যেটি দেখতে ওজন মাপার মেশিনের মতো।
থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে গ্রেফতার ব্যক্তিদের তিনজন পুলিশকে জানায়, ওই ওজন মাপার যন্ত্রে ‘বোমা রয়েছে’। এর পর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলকে খবর দেয়া হলে তারা এসে ডিউটি অফিসারের কক্ষে ওই ওজন মাপার মেশিন পরীক্ষা করেন। পরে আরেকটি বিশেষজ্ঞ দলকে ডাকা হয়, তারা পৌঁছানোর আগেই বিস্ফোরণ ঘটে।
ওই তিনজনের নাম বা বিস্তারিত পরিচয় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। কাকে তারা হত্যার পরিকল্পনা করেছিল, সে বিষয়েও কিছু বলেননি পুলিশ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন-
- ইসিতে আয়-ব্যায়ের হিসেব জমা দিয়েছে আওয়ামী লীগ
- শফিউল বারীর মৃত্যুতে ছাত্রলীগ নেতার আবেগঘন পোস্ট
- ৫০০ টাকা ভাড়া, ট্রেনে চেপে গরু এলো ঢাকায়!
- ধর্ষক বাবার দাবি- মেয়েই আকৃষ্ট করেছে!