নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দলীয় আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলীয় তহবিলে আওয়ামী লীগের সঞ্চয়ের পরিমাণ ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৮ সাল শেষে দলটির তহবিলে জমা ছিল ৩৭ কোটি ৫৬ লাখ ৩ হাজার ৮৩৮ টাকা। ২০১৯ সাল শেষে জমা আছে ৫০ কোটি ৩৭ লাখ ৪৩ হাজার ৫৯৩ টাকা।

আজ বুধবার (২৯ জুলাই) দুপরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এবং দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি সচিবালয়ে গিয়ে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীরের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়।

আয়-ব্যয়ের হিসাবে বলা হয়, গত বছর দলের আয় হয়েছে ২১ কোটি ২ লাখ ৪১ হাজার ৩৩০ টাকা। একই সময়ে দলটি ব্যয় করেছে ৮ কোটি ২১ লাখ ১ হাজার ৫৭৫ টাকা। হিসাবে দেখা যায়, জমা টাকার মধ্যে ৪০ কোটি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত (এফডিআর) হিসেবে রাখা আছে।

ইসিতে আয়-ব্যায়ের হিসেব জমা দিয়েছে আওয়ামী লীগ 1
ছবিঃ আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগ বলেছে, আগের বছরের মতোই দলের আয়ের একটি বড় অংশে এসেছে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে। এই খাতে দলের আয় ১২ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সম্মেলনে বাবদ দল পেয়েছে ৩ কোটি ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮০০ টাকা। ব্যাংক লভ্যাংশ পেয়েছে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার ২২৩ টাকা। সাংসদদের চাঁদা থেকে এসেছে ১ কোটি ৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। বাকি টাকা এসেছে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের মাসিক চাঁদা, জেলাভিত্তিক প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ চাঁদা, সদস্য ফরম বিক্রি, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের হল ভাড়া, পত্রিকা প্রকাশনা-বিজ্ঞাপন, পুস্তক বিক্রিসহ অন্যান্য খাত থেকে।

ব্যয়ের হিসাবে আওয়ামী লীগ বলেছে, সবচেয়ে বেশি ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৪ হাজার ৮০০ টাকা ব্যয় হয়েছে দলের জাতীয় সম্মেলনে আয়োজনে। কর্মচারীদের বেতন, বোনাস, আপ্যায়ন ও অন্যান্য খাতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা। বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৫ টাকা। সভাপতির দলীয় কার্যালয়ের ভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে ৫৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া বাকি টাকা নির্বাচন পরিচালনা কার্যালয়, দলীয় কার্যালয় রক্ষণাবেক্ষণ, ত্রাণ কার্যক্রম, পত্রিকা প্রকাশন, জেলা জনসভা ও দলীয় অন্যান্য কার্যক্রম, সাংগঠনিক খরচ, বিজ্ঞাপন ও পোস্টার প্রকাশনাসহ অন্যান্য খাতে খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।

আরও পড়ুন-