প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না, আমরা শান্তি চাই। আমরা শান্তি চাই এটা যেমন সত্য, আবার যদি কেউ আমাদের ওপর হামলা করে তা যেন যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে পারি। তাই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে নৌবহরে সংযোজিত নতুন করভেট ক্লাস যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’ এর উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন প্রথম সরকার গঠন করি এশিয়াতে তখন ব্যাপকভাবে মন্দা চলছে। ওই অবস্থায় নৌবাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক ব্রিগেড বানৌজা ‘বঙ্গবন্ধু’ ক্রয় করি, সেই সঙ্গে নৌবাহিনীকে আরও সুসংগঠিত ও সুজ্জিত করার উদ্যোগ নিই। ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করার পর এ পর্যন্ত সরকারে আছি। জাতির পিতা প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে দিয়েছেন ১৯৭৪ সালে। সেই নীতিমালার ভিত্তিতে ফোর্সে গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছি। তারই ভিত্তিতে প্রত্যেকটা বাহিনীকে শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছি। ইতিমধ্যে নৌবাহিনীতে সাবমেরিন যুক্ত হয়েছে। এভিয়েশন সিস্টেম যুক্ত হয়েছে অর্থাৎ এখন আমাদের নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের বিশাল সমুদ্রসীমা। এই সমুদ্রসীমা নিয়েও একটা সমস্যা ছিল। যেটা জাতির পিতা উদ্যোগ নিয়েছিলেন সমাধান করার, কিন্তু আমাদের ‍দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ পরবর্তীতে যারা সরকারে এসেছিল, আমি ঠিক জানি না তারা বিষয়টা জানতেন কিনা? তারা কোনো উদ্যোগই নেয়নি। পরে ১৯৯৬ সালে সরকারে এসে এ ব্যাপারে সমস্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে বেশকিছু কাজ করে যাই। দ্বিতীয় বার যখন সরকারে আসি তখন আরও উদ্যোগ নেই। সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার সেই অধিকারটা অর্জন করতে হবে। আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে দুই প্রতিবেশী দেশ একদিকে মিয়ানমার আরেকদিকে ভারত। এই দুই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেও আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে আমাদের সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী এক অদৃশ্য অশুভ শক্তি করোনাভাইরাস। এই অদৃশ্য শক্তির আক্রমণে সমস্ত বিশ্ব স্থবির হয়ে গেছে, অর্থনীতি, যাতায়াতসহ সবকিছু স্থবির হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ থেকে সবকিছুতে একটা ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। এই অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে কেউ লড়াই করতে পারছে না। আমরা এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাব। সারা বিশ্ব মুক্তিপাক আমরাও যেন মুক্তি পাই।