চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া (দঃ) ইউনিয়নের রাস্তাটিতে একেবারেই চলাচলের অযোগ্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এর প্রতিবাদ জানাতেই এদিন রাস্তার জমা কাঁদা-জলে ধান গাছ লাগিয়ে এই অভিনব পদ্ধতিতে পথ অবরোধ করেন ক্ষোভ প্রদর্শন করে স্থানীয় বাসিন্দারা।
দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে; তখন ফরিদগঞ্জের দায়চারা, ইছাপুরা, রামদাসেরবাগ, চৌমুখা, সাহাপুর এই ৫ গ্রামের মানুষ উন্নয়নের মহাসড়ক থেকে যেন ছিটকে পড়ছে।ইছাপুরা পাটওয়ারী (চন্দের) বাড়ি থেকে সাহাপুর চৌরাস্তা এবং পশ্চিম দায়চারা মাইজের বাড়ি থেকে কড়ইতলী পর্যন্ত ৩.০০ কি.মি. কাচারাস্তার সংস্কার নেই দীর্ঘদিন ধরে। ফলে রাস্তার বড় বড় গর্তগুলো এখন এক একটা বিষপোঁড়া। একটু বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি, হয়ে যায় কর্দমাক্ত ফসলের মাঠের মত। এলাকাবাসীর এই রাস্তা ধরেই যাতায়াত করতে হয় উপজেলা সদরে যেতে।৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদের কবি রূপসা, জামালপুর, বালিছাটিয়া, নদৌনা, দায়চারা, চৌঁমুখা, ইছাপুরা’র নাগরিক গনের ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার প্রধান রাস্তাও এটি। কিন্তু বর্তমানে এই রাস্তাটি গাড়ি (রিক্সা, সিএনজি, ইজিবাইক) চলাচলের জন্য সম্পুর্ণভাবে অনুপযোগী। বৃষ্টি হলে কাঁদায় সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে এই রাস্তা ব্যবহার করতে পারছেনা।
১৬ জুন (মঙ্গলবার) বিকেলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ইছাপুরা থেকে ৮ নং পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ধানের চারা রোপন করা হয়।ফরিদগঞ্জ উপজেলার মধ্যে ৮নং পাইকপাড়া (দঃ) ইউনিয়নটি অবহেলিত। এলাকাবাসীর অভিযোগ ভোটের সময় বিভিন্নরকম প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কিন্তু পরে তেমন খবর নেওয়ার সময় পায়না জনপ্রতিনিধিরা।
চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নূরুল ইসলাম তারেক বলেন, র্দীঘদিন থেকে দেখে আসছি রাস্তাটি শুধু মাপযোগ হচ্ছে পাঁকার কোন খবর নাই। রাস্তাটি পাঁকা হওয়া খুব জরুরি। ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি। কারণ জনপ্রতিনিধিদের বলে বলে আমরা এখন খুবই ক্লান্ত।পাইকপাড়া ইউজি উচ্চ বিদ্যালয়ের এবং সাহাপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী জীবন, শাম্মি, ইমরান, খেলাফত, রহমান জানায় বৃষ্টি হলে ওই রাস্তা দিয়ে ৩-৪ দিন যাওয়া যায় না। তার পরেও রাস্তা বাদ দিয়ে অন্যের বাড়ির মধ্যে দিয়ে বিদ্যালয়ে, মাদ্রাসায় যেতে হয়। অনেক সময় অন্যের অকথ্য ভাষা শুনতে হয়।
রিক্সাচালক বাচ্ছু শেখ বলেন এখনও বর্ষা শুরু হয়নি তাতেই এই অবস্থা। দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে, হচ্ছে.. আশা করি এই রাস্তাটি পাঁকা করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবেন।ইছাপুরা গ্রামের ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন মিঠন বলেন, দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ফরিদগঞ্জ অনেক এলাকার রাস্তা পাকা হয়েছে যে গুলো রাস্তায় মানুষ চলাচল করে না। অথচ পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তা জনবহুল হওয়া সত্তেও পাঁকা হচ্ছে না। আমরা চাই রাস্তাটি দ্রুত পাকা হোক সাধারন মানুষের দুর্ভোগ কমে আসুক।
ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা একজন নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, আমাদের এলাকায় ডজনে ডজনে নেতা থাকার পরও কোন নেতা রাস্তাটির সমস্যা সঠিক জায়গাতে না পৌঁছানোর কারনে আজও পাঁকা হচ্ছে না। ফলে এলাবাসির দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় বিশেষ করে মাদ্রাসা, বিদ্যালয়, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পড়েন বিপাকে।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং এমপি মহোদয়ের নিকট ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর আকুল আবেদন অতি শীঘ্রই এই রাস্তাটির বাজেট প্রনয়ণ করে রাস্তাপাকা করন করা হোক।।