মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সোমবার গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কুয়েতের রেসিডেন্স ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের আবেদনে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাদের আদেশ দেয় কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগ। রেসিডেন্স ইনভেস্টিগেশন বিভাগ শনিবার রাতে মুশরেফ এলাকা থেকে আটক করে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলকে, যিনি সেদেশে একটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো তাকে কুয়েতের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানিয়েছেন কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
গালফ নিউজ লিখেছে, পাঁচ বাংলাদেশির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
ওই ব্যক্তিরা প্রসিকিউশনকে জানিয়েছিল, তিন হাজার কুয়েতি দিনার খরচ করে পাপুলের মাধ্যমে সেদেশে গিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, ভিসা নবায়নের জন্য ফি বছর টাকা দিতে হয় তাদেরকে।
সাধারণ শ্রমিক হিসাবে কুয়েত গিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়া পাপুল ২০১৮ সালে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শুধু তাই নয় নিজের স্ত্রী সেলিনা ইসলামকেও সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য করে আনেন তিনি।
এদিকে এমপি পাপুলকে আটক করার কারণ এবং তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়ে কুয়েত সরকারকে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস চিঠি লিখেছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম।
তিনি সোমবার রাতে বলেন, “এ সম্পর্কে জানতে চেয়ে আমরা কুয়েত সরকারের কাছে রোববারই চিঠি লিখেছি। এখন পর্যন্ত কোনো জবাব আসেনি।”