কচুয়া

করোনাভাইরাসে আক্রন্ত রোগীদের জরুরী অক্সিজেনের প্রয়োজন মেটাতে ছাত্রলীগের তিন নেতার উদ্যোগে চালু হচ্ছে বিনামূল্যে ‘জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা’।

বৈশ্বিক মহামারী নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে পুরো বিশ্ব যখন বিপর্যস্ত তখন বাংলাদেশেও এর ভয়াবহতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে সামনে হয়তো আরও প্রকট হতে পারে এই মহামারীর প্রাদুর্ভাব। আমরা জানি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সব রোগীর ক্ষেত্রে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয় না। করোনা আক্রান্ত রোগীর এক পর্যায়ে শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাপক সমস্যা হয়ে পড়ে আর এসময় কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেন গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে। শুধু করোনা আক্রান্ত রোগী নয়, অন্যান্য রোগীর জন্যও অক্সিজনের প্রয়োজন হতে পারে।

এমতাবস্থায় অক্সিজেন মজুত করা ও এর মূল্য বেশী হওয়ায় অনেকে তাৎক্ষণিকভাবে অক্সিজেন গ্রহণ নিশ্চিত করতে পারছে না। এই অবস্থা হতে উত্তরণের জন্য আমরা বিনামূল্যে “জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা’র” উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। আমাদের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা এই করোনাকাল অতিক্রম করে উঠবো।

সেবাপ্রত্যাশী এবং সংশ্লিষ্ট সকলের স্বার্থ বিবেচনায় রেখে আমরা একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার নীতিমালা প্রনয়ণ করেছি।

১. আমাদের অক্সিজেন সেবা গ্রহন করার একমাত্র শর্ত হলো চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র। চিকিৎসকের লিখিত পরামর্শ ব্যতীত আমরা অক্সিজেন সরবরাহ করব না। আর অক্সিজেন সিলিন্ডার নেওয়ার সময় বাহককে অবশ্যই তার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি নিয়ে আসতে হবে। অথবা পরিচয় পত্র সাথে রাখলেই হবে।

২. যেহেতু আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেহেতু আমরা কেবল জরুরী প্রয়োজনে দিতে চাই। আমরা সংকটে পরা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ হাতে নেই। যেহেতু তাৎক্ষণিকভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় না, তাই প্রাথমিক সাপোর্টের জন্য আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করি। অক্সিজেন প্রদান করার পর তাদের কাছে ১২ ঘন্টা থাকবে এবং এর মধ্যে নতুন কোথাও হতে সিলিন্ডার ব্যবস্থা করবার অনুরোধ থাকবে।

৩. অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহারের জন্য আমাদের কোনো ফি দিতে হবে না এবং কোন জামানতও জমা দিতে হবে না।

৪. আমরা সিলিন্ডার এবং সম্পূর্ণ সেট বুঝিয়ে দেবো। আমাদের উদ্যোগে শামিল স্বেচ্ছাসেবী ডাক্তাররা প্রয়োজনে সঠিকভাবে অক্সিজেন দেয়া এবং ফ্লো-নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে পরামর্শ দিবেন কিন্তু ব্যবহারকারীদের ভূলের জন্য কোনো দুর্ঘটনা হলে সেজন্য আমাদের দায়ী করা যাবেনা, এই মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা স্বাক্ষর করতে হবে। অথবা আপনি নিজস্ব ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেটি লাগাতে পারেন।

৫. প্রাথমিকভাবে সেবাটি কেবলমাত্র ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

সবার সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে এই কার্যক্রম আমরা চালিয়ে যেতে চাই। এই দুর্যোগে আমরা ভাই-বন্ধু হয়ে একে অপরের পাশে থাকবো। আমরা সবাই মিলে এই সংকট মোকাবেলা করব ইনশাল্লাহ।

#যোগাযোগঃ

সাদ বিন কাদের চৌধুরী
সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, ডাকসু

সবুর খান কলিন্স
উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

রফিকুল ইসলাম সবুজ
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
সদস্য, ডাকসু।

দ্রষ্টব্যঃ আগামী ২৫ জুন থেকে আমাদের এই কার্যক্রম শুরু হবে। আমাদের এই কাজে কেউ যদি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী হন তবে তাদের ০১৭৭৬৯০৪৯৯৩ হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগের অনুরোধ করা হলো।

(লিখাটি Sad Bin Kader Chowdhury‘র ফেসবুক থেকে নেয়া।)