দিপু মনি

কে বলতে পেরেছিল আপনার ললাটে লেখা ছিল জনতার জয়টিকা। রবিঠাকুর বলেছিলেন, “মানুষের মধ্যে দ্বিজত্ব আছে; মানুষ একবার জন্মায় গর্ভের মধ্যে, আরেকবার জন্মায় মুক্ত পৃথিবীতে। মানুষের এক জন্ম আপনাকে নিয়ে, আর-এক জন্ম সকলকে নিয়ে”।

আপনার জন্ম হয়েছিল চাঁদপুরের মানুষের জন্য। চাঁদপুরের মানুষের জন্য আপনি এসেছিলেন আশীর্বাদ হয়ে। আপনি মরুভূমিতেও ফসল ফলাতে পারেন। বিগত ১১ টি বছর চাঁদপুরের মানুষকে আপনি তা দেখিয়ে দিয়েছেন।

আজকের দিনটি ছিল ২৩শে জুন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এমন দিনেই আপনি চাঁদপুরের মানুষের জন্য বরণডালা সাজিয়েছেন। এ মহাতীর্থক্ষণে সে বরণডালা তুলে ধরেছেন আজ জাতীয় সংসদে আপনার বাজেট বক্তৃতায়। তাই বলি সহস্রদিনের মাঝে আজিকার এই দিনখানি হয়েছে স্বতন্ত্র চিরন্তন।

১। চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল উত্থাপন।
২। চাঁদপুর হাসপাতালের জন্য হাই ফ্লো অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন।
৩। চাঁদপুর সদর হাসপাতালের জন্য করোনা টেস্ট ল্যাব স্থাপন।

চাঁদপুর ভাসছে আজ আনন্দের জোয়ারে। করোনা মহামারি না থাকলে হয়তো দেখতে পেতাম চাঁদপুরের রাস্তায় মানুষের উল্লাস। এটি চাঁদপুরের মানুষের জন্য আনন্দের এক মাহেন্দ্রক্ষণ। চাঁদপুরের মানুষ ভাসছে উৎসবের প্রাণবন্যায়। চাঁদপুরের মানুষের প্রতি আপনার যে দায়বদ্ধতা, ভালবাসা, সুতোর টান তা আপনি বারবার প্রমাণ করেছেন নিজেকে মানুষের কল্যাণে সপে দিয়ে।

এ ভূখন্ডের মানুষের মনের গহীনে আসন করে নিয়েছেন। নিজস্ব স্বকীয়তা দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করার মধ্যেই নিজেকে একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে তুলে ধরেছেন। মেঘনা যেমন আগ্রাসী ভূমিকায় এ ভূখন্ডকে গ্রাস করে চলেছে ঠিক আপনি মেঘনার বিপরীত চরিত্র ধারণ করে পরম মমতায়, ছায়ার মতো আগলে রেখেছেন এ জনপদকে। বঙ্গবন্ধু কন্যা এমন রাজনীতি করা মানুষগুলোকেই তুলে এনে স্থান করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। একটি রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নিয়ে রাজনীতিকেই পাথেয় করে নিয়েছেন। নিজেকে সপে দিয়েছেন মানুষের কল্যাণে।

সাধারণ মানুষের ভালবাসা, শ্রদ্ধা, মমতা এগুলো অর্জন করেছেন আপনার সাবলীল ব্যবহার দিয়ে। মানুষের দুঃখ দুর্দশায় পাশে থেকেছেন। মানুষের হৃদস্পন্দন বোঝার ক্ষমতা আপনার রয়েছে। তাই চাঁদপুরের মানুষ অহংকার করে বলে “আমাদের অহংকার, আমাদের একজন দীপু মনি আছে।” আপনি ভালবাসা, স্নেহ আদর সবটুকুই তুলে দিয়েছেন নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষের জন্য। আপনার বিনয়ী আচরণ চাঁদপুরের মানুষকে প্রচন্ডভাবে নাড়া দেয়। মানুষকে অভিভূত না করে পারে না। তাইতো আপনি আমাদের আপা, আমাদের প্রিয় আপা। আমাদের অহংকার ।

পঙ্কিল রাজনীতির এ ভূখন্ডে এসে আপনি মিলনতীর্থ শান্তির বাধ বেঁধেছেন । রবিঠাকুর বলেছিলেন “ বিনয় একটা অভাবাত্মক গুণ। আমার যে অহংকারের বিষয় আছে এইটে না মনে থাকাই বিনয়, আমাকে যে বিনয় প্রকাশ করিতে হইবে এইটে মনে থাকার নাম বিনয় নহে।” আপনার মধ্যে আমরা তাই দেখে চলেছি প্রতিনিয়ত।

আপনার বিজয়ের শকটখানি এগিয়ে চলুক। ধ্রুবতার সম আপনি মাঝ আকাশে দীপ্তি ছড়াবেন। “আজিকে তোমার নাম আমরা বেড়াই খুঁজি, আগামী প্রাতের শুকতারাসম নেপথ্যে আছে বুঝি। জয় হোক মধুমতি পাড়ের কন্যার। জয় হোক মেঘনা পাড়ের কন্যার। সবদিক থেকেই ধন্য হোক চাঁদপুরের মানুষ।

লিখেছেন- রতন কুমার মজুমদার, অধ্যক্ষ, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজ, চাঁদপুর