চাঁদপুর জেলায় দিন দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে করোনায় মৃতের সংখ্যাও।
তবে জেলাটিতে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছে বেশি। এসব মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহের পর রিপোর্টে ৩২ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। অসচেতনতা ও রোগ গোপন করার কারণেই জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
চাঁদপুরে দিন দিন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এরই মধ্যে করোনা উপসর্গ নিয়ে প্রায় ৭০ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৩২ জনের রিপোর্টে করোনা পজেটিভ এসেছে।জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪১৩ জন। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও করোনায় আক্রান্ত অথবা উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছে মানুষ।
চাঁদপুর শহরের গুনরাজদী এলাকার শুক্রবার মারা যান ৬৭ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন। এই মুক্তিযোদ্ধা করোনায় আক্রন্ত ছিলেন তা বুঝতেই পারেননি পরিবারের সদস্যরা।
শহরের গুয়াখোলা এলাকার আরেক বাসিন্দা জয়দল হোসেন চোকদার। দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জ্বরে ভুগলেও কোনও বেসরকারি হাসপাতালে মেলেনি তার চিকিৎসা। শেষ মুহূর্তে সরকারি হাসপাতালে নেয়া হলেও বাঁচানো যায়নি তাকে।
করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিনই চাঁদপুরের সকল উপজেলায় মারা যাচ্ছে কেউ না কেউ। অধিকাংশই ক্ষেত্রেই নমুনা সংগ্রহের পর জানা যাচ্ছে মৃত ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। আবার কারও কারও নমুনা সংগ্রহ ছাড়াই দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনে করছেন, লোকজনের অসচেতনতা ও রোগ গোপন করার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে । এছাড়া, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান তিনি।