বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিলো বলে ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার নেতা কর্মীদের মধ্য থেকে আমাকে ডাকসুতে ছাত্রলীগের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ায় আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মানিত অগ্রজ, স্নেহের অনুজ, সহযোদ্ধা, বন্ধু তথা ছাত্রলীগ পরিবারের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো৷
বিশেষ করে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার সহযোদ্ধা বিভিন্ন হলের সম্মানিত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের প্রতি যাদের হাড়ভাঙা পরিশ্রম ছাত্রলীগের বিজয় নিশ্চিত করতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছিল৷
আমার প্রাপ্ত পদকে আমি দায়িত্বের হিসেবে নিয়ে, নিজের সামর্থের সবটুকুন উজাড় করে দিয়ে চেষ্টা করেছি ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে৷ ২৮ বছর পরে ডাকসুতে ছাত্রলীগের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতে গিয়ে আমার ভুল গুলোর দায় একান্ত আমার নিজের৷
আর যদি ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কিছুটা হলেও শিক্ষার্থীদের মনে স্থান করে নিতে পারি সেই সফলতা আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবারকে উৎসর্গ করলাম৷
আমার চলার পথের ভুল গুলোকে আমার ছাত্রলীগ পরিবার ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের ভুল গুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তীতে ছাত্রলীগ পরিবার যখন আবার ডাকসুতে নেতৃত্ব দিতে আসবে তখন নিশ্চিতভাবে তারা শিক্ষার্থীদের মনের মনিকোঠায় আরো পোক্ত অবস্থান নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে৷
জীবনের প্রয়োজনে আমরা যে যেখানেই থাকিনা কেন একজন ভাই, বন্ধু কিংবা সহযোদ্ধা হিসেবে আজীবন এমনিভাবে আমায় ভালোবাসার ডোরে আবদ্ধ করে রাখবেন এটাই আমার একমাত্র চাওয়া।
লিখেছেন- আসিফ তালুকদার, সংস্কৃতি সম্পাদক, ডাকসু