ঘূর্ণিঝড় আম্পান বাংলাদেশ উপকূলের কাছাকাছি চলে আসার পর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দরে চার মাত্রার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জাহাজ না থাকায় এবং অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কার্যত অচল হয়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দর।
বুধবার (২০ মে) সকালে মহাবিপদ সংকেত জারির পর চট্টগ্রাম বন্দরে নিজস্ব চার মাত্রার সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সার্বক্ষণিকভাবে চালু আছে। বেলা ১২টার দিকে বন্দরের জেটিতে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে এসেছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মো. জাফর আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘মূলত অ্যালার্ট থ্রি জারির পরই চট্টগ্রাম বন্দরের সব অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। অ্যালার্ট-ফোর মানে হচ্ছে সর্বোচ্চভাবে মোকাবিলার জন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখা। এখন বন্দরে কোনো জাহাজ নেই। বহির্নোঙ্গরেও জাহাজ নেই। লাইটারেজ জাহাজগুলোকে কর্ণফুলী নদীতে শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণে নেওয়া হয়েছে। বন্দরের ইয়ার্ড থেকে আগে বুকিং থাকা কিছু কিছু কনটেইনার এখনও ডেলিভারি হচ্ছে। তবে সেটা সংখ্যায় খুবই নগণ্য।’