coxbazar

করোনাভারাইসের প্রাদুর্ভাব কমাতে বন্ধ করা হয়েছে দেশের সব পর্যটন কেন্দ্র, ফলে পর্যটকশূন্য এখন কক্সবাজার। সৈকতে মানুষের পদচারণা বন্ধ হওয়ায় ফিরে এসেছে ‘সাগরলতা’। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকতের বীচে উঠে এসেছে লাল কাঁকড়ার ঝাঁক, তীরের খুব কাছে এসেছে দল বেঁধে খেলছে ডলফিন!

প্রায় দুই দশক পর সারি সারি সাগরলতা কক্সবাজারের সৈকতের বুকজুড়ে ছড়িয়ে গেছে, বেলাভূমির কোথাও ফুটেছে সাগরলতার ফুল। সৈকতে পর্যটকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ফিরে এসেছে সাগরলতা, অথচ সপ্তাহ দুয়েক আগেও কেউ এমন দৃশ্য কল্পনা করতে পারেনি। স্থানীয়রা জানান, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনের চাপে এগুলো বলতে গেলে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। সাগরলতা সংরক্ষণে পর্যটক নিয়ন্ত্রণ ভীষণ জরুরী।

বিগত তিন দশকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যে দৃশ্য দেখেনি কেউ, গত সপ্তাহের শুরু দিকে দেখা মিলেছে বিরল সেই দৃশ্যের। পর্যটকশূন্য সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে দল বেঁধে খেলতে দেখা গেছে ডলফিন। ১০ থেকে ১২টি ডলফিনের এই দলটি সকাল ৯টা থেকে সাগরের নীল জলে লাফিয়ে লাফিয়ে খেলা করছিল। সৈকতের খুব কাছেই চলে এদেছিলো ডলফিনগুলো, সমুদ্র পাড় থেকে ডলফিনের খেলা করার দৃশ্য পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল।

ঢাকার বাতাসেও কমেছে দূষণ, দূষণের তালিকায় শুরুর দিকে থাকা ঢাকার অবস্থান এখন ২৩। করোনায় যখন দিশেহারা পৃথিবী, ঘরবন্দী মানুষ- তখন প্রকৃতি যেনো ফিরে পেয়েছে স্বস্তি। মানুষের চাপে পিষ্ট প্রকৃতি একটু সুযোগ পেয়েই দেখাচ্ছে হারানো অতীত। ইতিমধ্যেই কক্সবাজার সৈকতে ফিরে আসা সাগরলতা বা ‘মর্নিং বিচ গ্লোরি’ ও ‘লাল কাঁকড়া’ সংরক্ষণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। সৈকতের বাস্তুতন্ত্রের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে রক্ষা করতে পাইলট প্রকল্প হাতে নিচ্ছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

আরও পড়ুন-