ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র ও মহিমান্বিত রজনী শবে বরাত। ইসলাম ধর্ম মতে, এই রাত পাপ থেকে সর্বান্তকরণে ক্ষমা প্রার্থনা করে নিস্কৃতি লাভের ‘অপার সৌভাগ্যের’ রাত। বিশ্ব মুসলিমবাসীর বিশ্বাস, এ রাতে অসংখ্য বান্দা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও আশীর্বাদ লাভ করে থাকে। এ কারণে এ রজনীকে আরবিতে ‘লাইলাতুল বারাআত’ বা ‘নিষ্কৃতি/মুক্তির রজনী’ বলা হয়। শবে বরাতের ১৫ দিন পরেই আসবে রোজা।
প্রতিবার শবে বরাতের রাতে মসজিদে মসজিদে জামাতে আদায় হলেও এবার তা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে। ছোঁয়াচে এই রোগের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই মসজিদ বন্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশে মসজিদ বন্ধ না হলেও উপস্থিতি সীমিত রাখার আহ্বান জানিয়ে আসছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, “এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে নিজ নিজ বাসস্থানে বসে শবে বরাতের ইবাদত যথাযথ মর্যাদায় আদায় করার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং এই রাতে কবর ও মাজারে জনসমাগম না করারও আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।”
শবে বরাতের ইবাদত সম্পর্কে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী বলেন, শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে সহীহ ইবনে হিব্বানের হাদীসে এসেছে, ‘অর্ধ শাবানের রাতে আল্লাহ তায়ালা আপন সৃষ্টির প্রতি বিশেষভাবে মনোনিবেশ করেন। অতঃপর মুশরিক ও (মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে) শত্রুতা পোষণকারী ছাড়া সমস্ত মাখলুককে ক্ষমা করে দেন।’
তাই এই রাতে জেগে থেকে অধিক পরিমাণে আমল করা উচিত। বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাসহ সব রোগ থেকে মুক্তির জন্য বিশেষভাবে দোয়া করুন।