নরসিংদীতে ৩ দিনের মতো চলছে লকডাউন। কিন্তু লকাডউন মানছেন না সাধারণ মানুষ। লকডাউন উপেক্ষা করে অলিগলি ও সড়কে ভিড় জামাচ্ছে লোকজন। সড়ক-মহাসড়কে চলছে রিক্সা, অটো রিক্সা ও প্রাইভেট যানবাহন। নানা অজুহাতে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সাধারণ মানুষ রাস্তায় চলে আসছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবেলা ও সুরক্ষার প্রয়োজনে ৯ এপ্রিল থেকে সকল জেলার সাথে এই জেলার যানবাহন ও সাধারণ মানুষের অবাধে প্রবেশ এবং বহিঃগমন ঠেকাতে এ জেলাকে অবরদ্ধ (লকডাউন) করা হয়। জেলার অভ্যন্তরে করোনা প্রতিরোধ সংক্রামক জেলা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেন।
এদিকে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে নরসিংদীর পৌর শহর থেকে শুর করে বিভিন্ন উপজেলাগুলো ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। মানুষ ঘরে অবস্থান করছিল। কিন্তু রবিবার সকাল থেকেই পাল্টে যেতে থাকে নরসিংদী জেলা শহরের চিত্র। সকাল থেকে বাজারের অজুহাতে শহরের হেমেন্দ্র সাহার মোড়ে প্রায় ২ শতাধিক জড়ো হয়। এছাড়া ভেলানগর, বাসষ্ট্যান্ড, শাহেপ্রতাবসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় লোক সমাগম চোখে পড়েছে।
অন্যদিকে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও লকডাউন অমান্য করার কারনে কোথাও কোথাও বেশ কয়েকজনকে আর্থিক জরিমানা এবং মৌখিক মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহ আলম মিয়া। জনসমাগম দূর করতে শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশের একাধিক টহল টিম কাজ করছে। কিন্তু পুলিশ চলে যাওয়ার পর পরই পুনরায় বের হয়ে আসছে মানুষ।
এদিকে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের যৌথভাবে ভ্র্যাম্যমাণ মেডিক্যাল টিম উদ্ধোধন করা হয়েছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দুজ্জামান বলেন, আমাদের একটাই কাজ। সেটা হলো মানুষকে ঘরে রাখা। সেই লক্ষে মানুষকে ঘরে রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়। গরিব, দুঃখী থেকে শুর করে নিম্নবৃত্ত এমনকী মধ্যবৃত্তদের ঘরেও আমার খাবার পৌছে দিচ্ছ। তারপরও তাদের ঘরে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।
সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি।