মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একটি মানুষও যেন গৃহহীন না থাকে সেজন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে শনিবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখনও আমাদের দেশে নদীভাঙ্গা মানুষ গৃহহারা হয়ে যায়, এখনও আমাদের দেশে কিছু মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়, যারা ভূমিহীন, গৃহহীন। আমি চাই মুজিববর্ষ আমরা উদযাপন করছি, এই মুজিববর্ষের ভেতরেই বাংলাদেশের একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না।
“সেখানে আমি অনুরোধ করব… সেখানে আমার অনুরোধ থাকবে… আওয়ামী লীগের এত নেতাকর্মী… এত আদর্শের সৈনিক, আপনারা যার যার নিজের গ্রামে, নিজের এলাকায় একটু খোঁজ নেন কয়টা মানুষ গৃহহীন আছে, কয়টা মানুষ গৃহহারা আছে বা ভূমিহীন আছে। আপনারা একটু খোঁজে বের করেন। তাদেরকে আমরা ঘর করে দেব। আপনি পয়সা খরচ করতে না পারলে আমি দেব। তাদের আমরা ঘর দিয়ে যেতে চাই।”
“আপনি একটা ঘর করতে পারলেন…. যে না পারবেন.. দরকার হলে টাকা আমি দেব, কিন্তু আপনারা করে দেবেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে দেব, ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দেব, যেভাবে পারি দেব। যারা অর্থশালী, সম্পদশালী, বিত্তশালী তারা তো আরও পারবেনই। কাজে আপনারা সেটা করে দেন। বাংলার মাটিতে কোনো মানুষ ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এ বছরের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এক বছর সময়কে সরকার মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে। আগামী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তী উদযাপন করব। আমরা ২০২০ এর মার্চ থেকে ২০২১ এর মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ ঘোষণা দিয়েছি।
“আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বা আমাদের অন্যান্য সহযোগী নেতাকর্মীদের কাছে আমার একটা আবেদন থাকবে, আমরা মুজিববর্ষ উদযাপনের অনেক কর্মসূচি চিন্তা করি। আমরা করতে চাই, করে যাচ্ছি। অনেক অর্থও অনেকে ব্যয় করেন। একটা কাজ যদি আপনারা করতে পারেন, এর থেকে বড় সার্থকতা আর কিছু হবে না। আমি সে কাজটাই আপনাদের দিতে চাই।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কি আপনারা পারবেন করতে? আমার এ কথাটা পৌঁছে দেবেন সারা বাংলাদেশে? ধরে নিন, এটাই আমার আপনাদের কাছে একটা দাবি।“