নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশে, এখনও নৌপথ যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। দেশের অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন নৌপথে যাতায়াত করেন। নৌপথে ঝড়-তুফানে দুর্ঘটনা ছাড়াও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায়শই দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। সড়ক-দুর্ঘটনার মতো নৌ-দুর্ঘটনার হারও কম নয় দেশে। কিন্তু খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নৌপ্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এসব বিষয়গুলোর প্রতি আন্তরিকভাবে নজর দিয়েছেন তিনি। দাপ্তরিক কাজে তাঁর আন্তরিকতার প্রমাণ মিলল আরও একবার।

বুধবার দিবাগত মাঝরাতে চরমোনাইর কাছে নদীর মোহনায় রকেট স্টিমার বিকল হয়ে আটকে পড়ে। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। কিন্তু উদ্ধারের উপায় বা চেষ্টা সম্পর্কে লঞ্চের স্টাফরা কিছুই বলতে পারছিলেন না। কী হবে এই গভীর রাতে?

লঞ্চযাত্রী মো. ইফতেখার বলেন, এমন সময় আমার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর কথা মনে পড়ে। আমি অনেকটা নিরুপায় হয়ে তাকে সিম্পলি একটা এসএমএস করেছিলাম। এরপর তিনি খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিলেন। আর লঞ্চটি অতিদ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা হয়ে গেল। তারপর লঞ্চটি বরিশালে পৌঁছে দেয়া হয়।

লঞ্চযাত্রীরা বলেন, প্রতিমন্ত্রী যে তৎপরটা দেখিয়েছেন তা মুগ্ধকর। তাঁর মতো সবাই আন্তরিক ও দায়িত্বপরায়ণ হলে দেশ দ্রুত উন্নত হবে। প্রতিমন্ত্রীর জন্য দোয়া করেছেন লঞ্চযাত্রীরা।

ইফতেখার আজ বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সকালে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, শতবর্ষী পুরোনো এ স্টিমারে বিদেশি পর্যটকরা ছিলেন, তাদের মধ্যে নারীও ছিলেন। বারবার আমার কাছে জানতে চাইলো এখন কী হবে? তাদের উদ্ধার করা হবে কী না? লঞ্চের স্টাফরা কোনো উত্তর দিচ্ছিলো না। বিদেশী পর্যটকরা রকেট স্টিমারে ভ্রমণ করতেই এসেছেন। আমি কোনো দিক-বেদিক পাচ্ছিলাম না। তখনই আমার নৌপ্রতিমন্ত্রীর কথা স্মরণ হয়।

প্রসঙ্গত, দায়িত্ব গ্রহণের পর নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গত বছর ১০ জানুয়ারি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী যে বিশ্বাসে তাঁকে এ পদে দিয়েছেন, তিনি সেই বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে চান। সে জন্য সকলের সহযোগিতা চান তিনি।

উল্লেখ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নৌকা প্রতীকে (বোচাগঞ্জ এবং বিরল) উপজেলা দিনাজপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ।