চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলাতে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মানুষকে ঘরে অবস্থান এবং বাজারমুখী জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে চাঁদপুর-১ আসনের মাননীয় সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি মহোদয়ের নির্দেশনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।
নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি চালু করেছেন ‘দোকান যাবে বাড়ি’ নামে ভ্রাম্যমাণ বাজার। আজ সোমবার থেকে ট্রাকে করে এ ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু করা হয়েছে। একটি ট্রাকে চাল, ডাল, তরকারিসহ নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্য সহ গৃহস্থের দোরগোড়ায় সুলভমূল্যে পৌঁছে দিচ্ছে এ ভ্রাম্যমাণ গাড়ি।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, চলমান সংকটে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা নানা মানুষের কাছে সহায়তা চান ইউএনও। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী, নানা সামাজিক সংগঠন, মানবিক মানুষ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেন। এভাবেই ইউএনও চালু করেন ভ্রাম্যমাণ বাজার। ট্রাকভর্তি চাল, ডাল, চিনি, গুড়া দুধ, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ নানা নিত্য-ব্যবহার্য মসলাদির বাজার আর সেই সাথে দৈনন্দিন মানুষের কাঁচাবাজারও থাকছে গাড়িতে। যান্ত্রিক বাহনে এ ভ্রাম্যমাণ বাজার ছুটছে এখন জনগনের বাড়ির দোরগোড়ায়। সুলভমূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে এসব পণ্য। বিক্রয়কৃত অর্থ দিয়ে আবার ক্রয় করা হচ্ছে নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্য।



ইতিমধ্যে করোনা-সংকটকালে কচুয়ার ইউএনওর এমন ভ্রাম্যামাণ বাজার ‘দোকান যাবে বাড়ি’ স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এ কাজে সহায়তা করছে কাচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ বলেন, স্থানীয় নানা সামাজিক সংগঠন, ব্যবসায়ী ও মানবিক ব্যক্তিরা আমাকে সহায়তা করে চলেছেন। এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় মানুষ নিরাপদে ঘরে থাকা জরুরী। তারা বাজারমুখী হয়ে জনসমাগম সৃষ্টি করলে সংকট মোকাবেলা কঠিন হবে। তাই নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য ‘দোকান যাবে বাড়ি’ ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু করা হয়েছে। মানুষ সাড়া দিচ্ছে। আমরা ভ্রাম্যমাণ বাজার ব্যবস্থাপনার পরিসর আরো বাড়ানোর চেষ্টা করছি যাতে মানুষ ঘরে বসে নিত্য বাজার-সেবা পান।