মাঝরাতের পাগলামোকে সঙ্গী করে পদ্মার ইলিশ খেতে মাওয়ায় যাওয়ার গল্পের সাথে পরিচিয় আছে অনেকেরই। ভাঙ্গাচোরা সড়কে এতদিন ইলিশের স্বাদ যে খানিকটা দমিয়ে রেখেছে, সেও অস্বীকার করার জো নেই। তবে এবার এসেছে সুখবর, মিলেছে মুক্তি!

চালু হয়েছে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। আজ (১২ মার্চ) সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে পোস্তগোলায় নেমে এতদিন এক থেকে দেড় ঘন্টার যে জ্যামে হাঁসফাঁস করেছে সবাই, সেখানে নেই কোন জ্যাম। ফ্লাইওভার থেকে নেমে পোস্তগোলার ওভারপাস হয়ে এখন মাওয়ার দিকে ছুটে যাবে ১৫০ কিলোমিটার বেগে! ভাঙ্গা অংশের ২০ কিলোমিটার উদ্বোধন হয়েছে আগেই, আজ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে ঢাকা-মাওয়া অংশের ৩৫ কিলোমিটার। দেশের প্রথম এই এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে মাওয়া যেতে সময় লাগবে মাত্র ২৭ মিনিট, আর পদ্মাসেতু চালু হলে মাদারীপুর যেতে লাগবে ৫০ মিনিট।

চোখেমুখে প্রশান্তি নিয়ে গতরাতেও চড়েছি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে। ফিরতি পথে সকালের নরম আলোয় দেখেছি, সড়কের সুবিধাভোগী মানুষের উচ্ছ্বাস! এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের পর সেই উচ্ছ্বাস ছুঁয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও। ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধনের পর শেখ হাসিনা বলেছেন- ‘এখন থেকে খুব দ্রুত টুঙ্গিপাড়া যেতে পারবো। এ মাসেই আমি টুঙ্গিপাড়া যাব। তখন এক্সপ্রেসওয়ে দেখা যাবে।’

জ্যামে নাকাল ঢাকাবাসী যদি খানিকটা উচ্চগতি উপভোগ করতে চায়, সাথে খেতে চায় ফেরীঘাটে পদ্মার ইলিশ- তাহলে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে ছুটে যেতে হবে পদ্মা সেতুর দিকে। আর এই ছয় লেনের দৃষ্টিনন্দন সড়কে পথে যেতে-যেতে জানালার কাঁচ খুলে মুখে বাতাসের ঝাপটা লাগিয়ে এবার নগরবাসী বলতেই পারেন- আহা, কি আনন্দ আকাশে-বাতাসে!