না, টেলিভিশনে কোন টিভিসি বানাতে হয়নি। কোন নেতাকে ডাক দিতে হয়নি, কোন মঞ্চ করতে হয়নি। লাখ লাখ টাকা স্পন্সর লাগেনি। টাকা খরচ করে রাজধানীজুড়ে ব্যানার বানাতে হয়নি। সাংবাদিক ডেকে কোন কর্মসূচিও ঘোষণা করতে হয়নি। শুধুমাত্র বিবেকের ডাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জড়ো হয়েছিলো হাজারো মানুষ। গড়ে উঠেছিলো লাখো মানুষের গণজাগরণ। আমরা ছিলাম সেই শাহবাগে।
বলছি ৫ ফেব্রুয়ারির কথা। সাত বছর আগে এই দিনে চোখের সামনে শাহবাগ ও গণজাগরণ দেখেছি। দেখেছি জণসাধারণের স্বতস্ফুর্ততা। সাধারণের ওই আন্দোলনের গজিয়ে ওঠা ঘোষকদের দেখেছি। দেখেছি একটা অান্দোলনের করুণ পরিনতি। সেই সাথে উপলব্ধি করেছি কেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এতো বিকৃতি। ভাগ্যিস অতীতের টাইমলাইনে কিছু যুক্ত করা যায় না। কাজেই সেদিন কার কী ভূমিকা ছিল তার একটা বড় প্রমাণ যার যার টাইমলাইন।
হ্যাঁ, অনেক হতাশা অাছে। তবু অাছে অাশাবাদ। কারণ, শাহবাগ তরুণ প্রজন্মকে রাজপথে নামিয়েছিল। শিখিয়েছিল স্লোগান অার দেশপ্রেম। আজকের দিনে তাই স্মরণ করি লাখো সহযোদ্ধাদের যারা কারো ডাকে নয়, স্বেচ্ছায় এসেছিলেন শাহবাগে। নাওয়া খাওয়া ভুলে স্লোগান আর শপথে ছিলেন রাজপথে। আমি জানি সময়ের প্রয়োজনে আবারো লাখো মানুষ নামবে রাজপথে। গলা ফাটিয়ে তারা স্লোগান দেবে জয় বাংলা। গেয়ে উঠবে আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। অার সে কারণেই রোজ বলি শুভ সকাল বাংলাদেশ।
লিখেছেন- শরিফুল হাসান, ব্র্যাক কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন-