সবার গল্প তো হলো, ‘হোয়াট এবাউট রাকিবুল?’ বামে হাতে স্পিন বল করে, সাকিবের মত দুই হাত তুলে আউটের আবেদন করে। গোটা আসরেই তিন ইকোনমিকে বল করেছে, দলের সেরা আর আসরের ষষ্ঠ সেরা বোলার!
আর গতকালের ব্যাটিংটা? হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়া মিডল অর্ডারের পর আকবর দ্যা গ্রেটের সঙ্গে অপরপ্রান্তে মাইনাস ডিগ্রীতে বরফের মত জমে যাওয়া। ব্যাটিংয়ে নেমেই ভয়ংকর বিষ্ণুকে সামলেছেন পুরো ৩৪ তম ওভারে, জাতীয় দলেও কি লেজের দিকে নামা এমন ‘কুল’ কাউকে দেখেছি আগে? মনে পড়ছে না! এতটাই ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং, যেন অ্যান্টার্কটিকার সব বরফ এসে জমেছে রাকিবুলের মাথায়।



এক টানা তিন ওভার মেইডেন, ততক্ষণে টিভি স্ক্রিনেরও রানের ক্ষুদা লেগেছে বোধহয়! লিখা উঠেছে শেষ ২০ বলে কোন রান নেই, অথচ তাতেও রকিবুল-আকবরের বিকার নেই। তাদের লক্ষ্যটা স্থির, তীক্ষ্ণ চোখ অধরা বিশ্বকাপে। সাধারণত অনেকটা সময় রান না এলে স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের চেহারায়ও অস্বস্তি দেখা যায়, আর নয় নাম্বারে ব্যাট করতে নামা কেউ হলে তো এলোমেলো ব্যাট চালানো স্বাভাবিক ঘটনা। এখানেও রাকিবুল অনন্য, অসাধারণ দক্ষতায় খেলে গেছেন প্রতিটা বল। আকাশে না ভাসিয়ে এক রান নিয়েছে, চার মেরেছেন।
শেষ অব্দি বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ফাইনাল জিতেছে যার শটে, সেও রাকিবুল! এই আকবর-রকিবুলরা একটা অন্যরকম নতুনের শুরু, এই যুবারা বাংলাদেশের নামের পাশে ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন’ লাগানো ঠান্ডা মাথার গুরু!