তামিম-সাকিব- মুশফিকরা পারেনি ২০০৬ সালে, সৌম্য-আনামুল-লিটনরা পারেনি ২০১২ তে। এ যাবত কালে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের সবচে সেরা দল যাদের ভাবা হতো, সেই মিরাজ-সাইফুদ্দিনেরাও ২০১৬ সালে থেমেছে যুব বিশ্বকাপের সেমি অব্দি গিয়েই। অপেক্ষাটা তাই দুই দশকের…

তবে কাল ইতিহাস হলো, অনেক আশা-নিরাশার দোলাচল শেষে প্রথমবারের মত যুব বিশ্বকাপে স্বপ্নের ফাইনালে বাংলাদেশ। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর দুই দশকের অসম্ভবকে সম্ভব করলো ‘জয়ের’ ব্যাট। মাহমুদুল হাসান জয়ের অসাধারন ইনিংসে ফাইনালের স্বাদ নিলো বাংলাদেশ, যা আমাদের যেকোনো ক্রিকেটে প্রথম।

নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২১২ রান তাড়া করতে নেমে ৯ম ওভারেই দুই ওপেনারকে হারাতে হয় বাংলাদেশ যুবদলকে। দলের হাল ধরার জন্য প্রয়োজন ছিলো ঠান্ডা মাথায় খেলা, স্বভাবগত ভাবে জয় ঠান্ডা মাথার খেলোয়াড়। লক্ষ্যে পৌঁছাতে ওভার প্রতি ৪ রানের একটু বেশী দরকার ছিলো, ক্রিজে ফ্রিজ হয়ে গেলেন জয়। স্ট্রাইক রেটের কথা ভুলে ক্রিজে জমে গেলেন। প্রথমে তাওহিদ রূদয়, এরপর শাহাদাতকে সঙ্গে নিয়ে তুলে নিলেন ব্যাক্তিগত শতক।

ইনিংসের শুরুতেই দুই উইকেট হারানো তালমাতাল বাংলাদেশকে স্থির করে ১২৭ বলে ১৩ চারে নিজের শতক তুলে আউট হন জয়, দলও অবশ্য ততক্ষণে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলা থেকে মাত্র জয় ১১ রান দূরে!

দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুম শহরের সেনওয়েস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ আগের ম্যাচে হারিয়েছিলো ঘরের দল শক্তিশালী দক্ষিন আফ্রিকাকে। বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে শতক মিস করা জয় বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে দাপুটের সঙ্গেই শতক হাকিয়ে জাত চিনিয়েছেন বিশ্বকে। এবার চাওয়া, ফাইনালেও আরেকবার জয়ের ব্যাট হাসুক, তাহলে বাংলাদেশকে পৌঁছে যাবে এক অনন্য উচ্চতায়। কে জানে, অধরা বিশ্বকাপটাও হয়তো ছুয়েঁ দেখা হয়ে যাবে!