২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র পদে মোঃ জিল্লুর রহমানকে মনোনীত করা হয়। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার একদিন পর আজ বেলা এগারোটায় নিজের নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুরে আসেন তিনি। মনোনয়ন পাওয়ার খবরের পর থেকেই উল্লাসে ভাসা মেঘনা পাড়ের মানুষ জুয়েলের আগমনে যেন উৎসবে ফেটে পড়েন!
নৌকার মাঝির অপেক্ষায় আগে থেকেই রাস্তায় অপেক্ষায় ছিলো চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভা ছাত্রলীগ, আওয়ামিলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কের বাবুরহাট স্টেশনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামিলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা এডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েলকে বরণ করে নিতে অপেক্ষায় ছিলো চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সহ বহু নেতা-কর্মীরা।



সড়ক পথে চাঁদপুরের কচুয়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলা হয়ে জেলা আওয়ামিলীগ ও ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে আসা জিল্লুর রহমান জুয়েলকে বাবুরহাট থেকে বিশাল মোটর বাইক শোভাযাত্রার মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয় শহরে। এ সময় সড়কের দুই পাশে ফুল হাতে উল্লাসিত নেতা-কর্মীদের ও সাধারণ মানুষের সরব উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মত।
পথে পথে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত আওয়ামিলীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থীকে নিয়ে হাজারো নেতা-কর্মী জেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে বিশালাকার মিছিল। তাতে যোগ দেয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে চাঁদপুর পৌরসভা ছাত্রলীগে, সভাপতি বাদলের নেতৃত্বে আসা কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগ। এছাড়াও শাহারাস্তি, হাজীগঞ্জ, মতলব, ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি মিছিল হয়ে উঠে জনসমুদ্র।
জেলা আওয়ামিলীগের অফিসে গিয়ে শেষ হয় মিছিলটি। এতে শহরের জ্যামে খানিকটা জনদুর্ভোগ বাড়ে। তবে মিছিল শেষে জেলা আওয়ামিলীগ অফিসে রাখা বক্তব্যে নিজের আগমন উপলক্ষে চাঁদপুর শহরে সৃষ্ট যানজটে থেকে হওয়া জনদুর্ভোগের জন্য শহরবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
আরও পড়ুন- চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মাঝি জিল্লুর রহমান জুয়েল