করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত চীনের জন্য মাস্ক, গাউন, ক্যাপ, হ্যান্ড গ্লোভ ও স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘সহমর্মিতামূলক সহায়তা’ হিসেবে দেশটির জন্য এসব সামগ্রী পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের সরকার।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণহানির ঘটনায় শোক ও সমেবদনা জানিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের হাতে ওই চিঠি ও স্বাস্থ্য সামগ্রী হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
চিঠি থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ ভাইরাসের আক্রমণে স্বজন হারানো চীনা পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। চীন সরকার কর্তৃক দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের সঠিকভাবে সেবা প্রদানেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। চীন দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
চীনের সঙ্গে বাণিজ্য কমবে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে সাময়িক সমস্যা হতে পারে। কিন্তু বড় কোনও ঝামেলা হবে না।’ একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ যেকোনও ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত।
বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত লি বলেন, ‘আমি অনেক সান্ত্বনাসূচক চিঠি পেয়েছি এবং স্থানীয় সংস্থা ও মানুষের কাছ থেকে অনুদান পাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘চীনে নববর্ষ ছুটি দীর্ঘায়িত করা হয়েছিল এবং এখন চাইনিজরা কাজে ফেরত যাচ্ছে। আমার বিবেচনায় বাণিজ্যে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।’
পাশাপাশি চিঠিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে নিমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সিঙ্গাপুর ছাড়া আর কোথাও বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যে ৩১২ জন চীন থেকে ফেরত এসেছে তারা সবাই ভালো আছে এবং বাসায় ফেরত গেছে।
হুবেই প্রদেশে থাকা ১৭১ বাংলাদেশিকে ফেরত আনার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, চীনফেরত ৩১২ বাংলাদেশি ঘরে ফিরে গেছে এবং এখন হজ ক্যাম্প খালি আছে। এখন নতুনদের আনার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে।
একইদিকে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চীন বাংলাদেশের জন্য করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে সক্ষম ৫০০ কিট পাঠাচ্ছে।