গাছেরও প্রাণ আছে- তাই গাছে পেরেক ঠুকে লাগানো সাইনবোর্ড তুলে ফেলা। বজ্রপাত থেকে বাঁচতে রাস্তার পাশে তাল গাছের বীজ ও চারা রোপণ, কিংবা ধানের ন্যায্যমূল্য কৃষকের হাতে তুলে দিতে নিজেই গাড়িতে মাইক বেঁধে প্রচরণায় নেমে পড়া! আগে থেকেই নানান ভিন্নধর্মী সামাজিক কাজের জন্য বিশেষ পরিচিতি আছে তাঁর। বলা হচ্ছে, চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার টানা দ্বিতীয় বারের মত নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশিরের কথা। তিনি এবার নেমেছেন পরিবেশ বাঁচাতে পরিত্যক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিকের বোতলের ব্যবহার কমানোর সচেতনতায়। ভিন্ন আঙ্গিকে চমৎকার এই কাজটির কথা নিজের ফেসবুকে টাইমলাইনে লিখেছেন এভাবে-
“চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলায় যে সকল সরকারি বা আধা-সরকারি মহাবিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আছে। সে সকল প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের উদ্দেশ্যে অনুরোধ করছি, যদি আপনার প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের গান শিখানোর প্রয়োজন অনুভব করেন, তাহলে একটি হারমনিয়াম অত্যন্ত প্রয়োজন। এই প্রয়োজনীয় হারমোনিয়ামটি বিনামুল্যে পেতে চাইলে, উপজেলা পরিষদে জরুরি যোগাযোগ করবেন।
তবে একটি সহজ শর্ত আছে! যেহেতু একটি হারমোনিয়ামের বাজার দর দশ হাজার টাকার উপরে, এবং বিনামূল্যে উপজেলা পরিষদ আপনার প্রতিষ্ঠানকে দিবে। সুতরাং এটি পেতে হলে বিনিময় হিসেবে আপনার প্রতিষ্ঠানে চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সকল পুরোনো পলিথিন বা পুরোনো যে কোন প্লাস্টিকের বোতল আমাদের উপজেলা পরিষদে (অন্তত দশ কেজি) জমা দিন। জমা দিলেই সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে আপনার প্রতিষ্ঠানকে একটি হারমনিয়াম উপহার দেওয়া হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে বারোটি প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হবে। সুতরাং যে প্রতিষ্ঠান পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন ও প্লাষ্টিকের বোতল (অন্তত দশ কেজি) নিয়ে আগে আসবেন, তাহারা আগে পাবেন। এছাড়াও একটি ফুটবলের জন্য (এক কেজি) পলিথিন বা বোতল দিলে একটি বল/ভলিবল দেওয়া হবে। এক সেট ক্রিকেট সরঞ্জাম পেতে হলে জমা দিতে হবে (পাঁচ কেজি) পুরনো পলিথিন বা পুরোনো বোতল।
এবং এইসব কিছুই হচ্ছে শুধু মাত্র আমাদের আগামী দিনের প্রজন্মের জন্য। আমাদের পরিবেশ আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।”