‘সকাল-দুপুর-সন্ধ্যেবেলা, অমুক আপার দরজা খোলা’ কিংবা ‘অমুক আপার আনারস, যতো চিপে ততো রস’- এই স্লোগানগুলো নিয়ে প্রচুর ট্রল হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এইসব ট্রল করছে সমাজের প্রায় সব শ্রেনীর মানুষই!

নির্বাচনে মার্কা অনুযায়ী, প্রার্থীর নাম অনুযায়ী, এলাকা অনুযায়ী মিছিলের স্লোগান তৈরি হয়৷ মিছিলে বাড়তি উদ্যোম আনার জন্য সেইসব স্লোগান ব্যবহৃত হয়৷ যেমনঃ ‘প্রার্থী এবার সাজেদুল, ফুটবে মোদের আশার ফুল কিংবা সেরা মার্কা হাতিঘড়ি, ভোট দিবো লাইন ধরি’। আরও কিছু পরিচিত স্লোগান আছে, যা সকল প্রার্থীই ব্যবহার করেন। এর মধ্যে অমুক ভাই সৎ লোক, তমুক ভাইয়ের দরজা খোলা, অমুক ভাইয়ের দুই নয়ন…এইসব হাবিজাবি আরও আছে৷

কিন্তু অবাক করা বিষয়, এসব নিয়ে এতো নির্লজ্জভাবে ট্রল হইতে দেখিনি কোনদিন৷ যেমনটা নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে হয়। এবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী ডেইজি আপা, চামেলী আপা কিংবা স্মৃতি আপার মার্কা নিয়ে, মিছিলে ব্যবহৃত সাধারণ স্লোগান নিয়ে নানারকম যৌনতাপূর্ণ ইঙ্গিত করে ট্রল করা হচ্ছে। এভাবে ট্রল করার কারণ কি? উনারা নারী তাই?

বিষয়টি কি তবে নারীকে যৌনবস্তু, আনারস কিংবা ভোগ্যপন্য ভাবার যে পুরুষতান্ত্রিক চিন্তা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে আছে তারই বহিঃপ্রকাশ? তাদের দরজা খোলা মানেই কি যৌনতার ইঙ্গিত? তাদের দু নয়ন কি উন্নয়নের কথা বলতে পারেনা? উন্নয়ন কি শুধু পুরুষ প্রার্থীরাই করে? পুরুষ প্রার্থীদের দরজা খোলা থাকায় কি কোন ইঙ্গিত থাকেনা?

নারীকে হেয় করে পৈশাচিক আনন্দ লাভকারীদের দেশে ধর্ষণ করে জানোয়ারের দল লাইভে আসবে না তো কি পালাবে? এতো ঠ্যাকা পড়ছে তাদের?