পূজার দিনে নির্বাচন না দেয়ার দাবিতে শেষ বিকালে উত্তাল হয়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, বিকাল থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেন রাজু ভাষ্কর্যে। এরপর শিক্ষার্থীরা শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান করেন।



সরস্বতীপূজার কারণে নির্বাচন পেছানোর জন্য হাইকোর্টে একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ। শুনানি শেষে আজ রিটটি খারিজ করে দেন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ। আদালত বলেছেন, ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনী কার্যক্রম এখন যে অবস্থায় আছে, ভোটের তারিখ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। তাই নির্বাচন পেছাতে যে রিট করা হয়েছে, তা সরাসরি খারিজ করা হলো।
নির্বাচন পেছানোর দাবিতে আজ দুপুরে রাজু ভাষ্কর্যে পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ হল সংসদ ও হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রিট খারিজের খবর এলে আরও শিক্ষার্থীরা জড়ো হন তাদের সাথে, সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ চলে তাদের অবস্থান কর্মসূচি। আজকের কর্মসূচি শেষে জানানো হয়- “আগামীকাল দুপুর ১২ টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনকে আলটিমেটাম দেওয়া হলো। এর মধ্যে দাবি মানা নাহলে নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা এবং কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।”



এর আগে গত ১১ জানুয়ারি ডাকসুর প্যাডে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্বাচনের তারিখ পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন ডাকসুর এসিএস ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। এছাড়াও গত ১২ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ডাকসু ও হল সংসদগুলোর সংহতি প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করে। এবং শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা ২০২০ উৎযাপন উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পুনর্বিবেচনার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বরাবর জগন্নাথ হল সংসদের স্মারকলিপি প্রদান।
শিক্ষার্থীদের দাবি- পূজার দিনে নির্বাচন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পথে অন্তরায় এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অগ্রাহ্য করা সামিল। আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দিচ্ছিলো- ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’। ‘পূজার দিনে নির্বাচন, মানি না, মানবো না’।
ফিচার ফটো- জিবন আহমেদ।